শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৭:৩৭

দল নিবন্ধন আইনের’২০ খসড়া ইসির অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) দিলেও রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনের’২০২০ খসড়া অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রয়োজনীয় সংশোধনীগুলো সম্পন্ন হলে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় আইনটি অনুমোদন পায়। এর আগে এ ব্যাপারে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিকগুলোর মতামত চাওয়া হয়। কমিশন সভাশেষে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, কমিশন আইনের সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে কিছু সংযোজন-বিয়োজনের নির্দেশনাসহ এটি অনুমোদন দিয়েছে। আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংযোজন-বিয়োজন সম্পন্ন করে কমিশনারদের কাছে উপস্থাপন করব। তারা এটি দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হবে।

সচিব বলেন, বর্তমানে সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু নিবন্ধনের বিষয়টি আরপিওতে থাকলে তা কেবল সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রযোজ্য হয়। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের জন্য আলাদা আইনের প্রয়োজন হবে। আরপিও থেকে নিবন্ধনের চ্যাপ্টারটি বের করে একটি স্বতন্ত্র আইন করা হলে এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।

মো. আলমগীর বলেন, আধুনিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) ছিল না। এটি ২০০৮ সালে আরপিওতে যুক্ত হয়েছে। তখন আলাদা আইনের কথা উঠেছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে তড়িঘড়ি করে এটিকে আরপিওতে যুক্ত করা হয়। তবে বর্তমান কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আলাদা করে আইন করার প্রয়োজন বলে মনে করছে। তারা মনে করছেন, আইনের এই অংশটি আরপিও থেকে বের করে স্বতন্ত্র করা উচিত। তাছাড়া সরকারের একটি সিদ্ধান্ত আছে, সব আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন করার। যার কারণে এটি বাংলায় করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা ১৭টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনসহ ৪১ প্রতিনিধির মতামত নিয়েছি। এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কমিশন সভায় তুলে ধরা হয়েছে। মতগুলোর মধ্যে যেটি গ্রাহ্য সেটা কমিশন গ্রহণ করেছে। যেটি অগ্রাহ্য সেটি কমিশন গ্রহণ করেনি।###hamid sarker

© Alright Reserved 2020, The Morning Telegraph